প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:৬
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন “পদ্মা ও পায়রা সেতু” এখন আর স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সর্বশেষ স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামো। এর পরপরই দৃশ্যমান হয় পায়রা নদীর ওপর নির্মিত সেতু। সম্প্রতি পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অবশ্য সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মূল ব্যয়ের চেয়ে সাড়ে তিনগুন বেশি অর্থাৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৪৪৭ দশমিক ২৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আর প্রকল্পটি শেষ করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৫ বছর বেশি সময় লেগেছে।
আগামী মাসের যে কোন সময় সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু উদ্বোধন এবং প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল সেতুটি পরিদর্শন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। যদিও উদ্বোধনের দিন তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এদিকে পটুয়াখালীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পায়রা নদীর উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম শহীদ পটুয়াখালীর কৃর্তি সন্তান আলাউদ্দিনের নামে নামকরণের দাবী উঠেছে। অপরদিকে সেতু পারাপারের জন্য ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের নির্ধারিত টোল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া পদ্মা ও পায়রা সেতুকে ঘিরে বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে উঠছে হোটেল-মোটেলসহ বহু ছোট-বড় শিল্প কলকারখানা। সেতু দুটিতে যান চলাচল শুরু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য দুয়ার খুলে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ মে একনেক সভায় প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা নদীর উপর লেবুখালী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৩৯ কিলোমিটারে পায়রা নদীর ওপর ১১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পায়রা সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। এটি নির্মাণে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগ করেছে। সেতুটি নির্মাণ করেছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন।
এটি নির্মাণ করা হয়েছে চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে নান্দনিক নকশায়। সেতুটি দু’পাশ এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত করায় নদী অংশে মাত্র একটি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। পায়রা নদীর মূল অংশে ৬৩০ মিটার বক্স গার্ডার চারটি স্প্যানের ওপর এটি নির্মিত হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে উপকূলীয় পণ্য ও জ্বালানিবাহী নৌযান চলাচলের জন্য মূল অংশে ২০০ মিটার করে দুটি স্প্যান ১৮.৩০ মিটার ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে। নদীর তলদেশে বসানো হয়েছে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল, যা দেশে সর্ববৃহৎ।
৩২টি স্প্যানের মূল সেতুটি বিভিন্ন মাপের ৫৫টি টেস্ট পাইলসহ দশটি পিয়ার, পাইল ও পিয়ার ক্যাপের ওপর নির্মিত হয়েছে। এছাড়া ১৬৭টি বক্স গার্ডার সেগমেন্ট রয়েছে এটিতে। যার ফলে দূর থেকে সেতুটিকে মনে হবে ঝুলে আছে। এছাড়া জোয়ারের সময় নদী থেকে সেতুটি ১৮.৩০ মিটার উঁচু থাকবে। চার লেনবিশিষ্ট সেতুটির নদীর উভয় প্রান্তে মোট ১ হাজার ২৬৮ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। টোলপ্লাাজা, প্রশাসনিক ভবন, ইলেকট্রিফিকেশন, নদীর শাসন প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৫ বছর বেশি সময় লেগেছে সেতুটি নির্মাণে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দুর্বলতার ফলে সেতুর নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, দীর্ঘ টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং সাম্প্রতিক বৈশি^ক মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সমস্যার কারণে সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষকে বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আগামী মাসে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে প্রতীক্ষায় রয়েছে গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসী।
পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হালিম বলেন, সেতুটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেতুতে হেল্প মনিটরিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। যাতে ভূমিকম্প বজ্রপাতসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দূর্যোগ অথবা ওভার লোডেড গাড়ির কারণে ক্ষতি এড়াতে পূর্বাভাস মিলবে এই মনিটরিং সিস্টেম থেকে। তাছাড়া এটি দেশের দ্বিতীয় সেতু, যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি করা।
তিনি আরো জানান, আগামী মাসের যেকোনো সময়ে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তারই অংশ হিসেবে ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল সেতু পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পায়রা সেতু প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল হালিম, বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন, পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিসহ উদ্বোধনী মঞ্চ স্থাপন এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভাগ্য বদল:
স্বপ্নের পদ্মা ও পায়রা সেতু নির্মাণ হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবন-জীবিকা বদলে যাবে। দক্ষিণাঞ্চল বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। এই জনপদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করবে পদ্মা ও পায়রা সেতু। পর্যটন করপোরেশনের কুয়াকাটার ব্যবস্থাপক সুভাষ চন্দ্র নন্দি জানান, পদ্মা ও পায়রা সেতুকে সামনে রেখেই পায়রা সমুদ্র বন্দর, গঙ্গামতী, কাউয়ারচর, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় গড়ে উঠছে আধুনিক মানের হোটেল-মোটেল, শিল্পায়নসহ নানা স্থাপনা। স্বপ্নের পদ্মা ও পায়রা সেতুতে পুরোপুরি যানবাহন চালু হলে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। একই সাথে এসব অঞ্চলের সাথে গড়ে উঠবে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীক সর্ম্পক। পাশাপাশি পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকভাবে গড়ে উঠবে কল-কারখানা। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগ বাড়বে, তৈরি হবে কর্মসংস্থানের।
পায়রা সেতুর নামকরণঃ
স্বাধীনতার ইতিহাস রক্ষায় পটুয়াখালীর লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর নান্দনিক নকশায় নির্মিত পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু)’র নাম বরিশাল বিভাগ তথা পটুয়াখালীর কৃতি সন্তান স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ আলাউদ্দিন এর নামে নামকরণের দাবী জানিয়েছেন পটুয়াখালীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
তারা জানান, ১৯৬৯এর গণ-অভ্যুত্থানের পথ ধরে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ৬৯’ সালের ২০ জানুয়ারী ঢাকায় আইয়ুব বিরোধী বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিলে নিহত আসাদুজ্জামান খান (শহীদ আসাদ)। ৬৯ এর ২৮শে জানুয়ারী শহীদ আসাদ এবং কিশোর মতিউর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং আইয়ুব খানের পদত্যাগের দাবীতে বরিশাল জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আহুত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পিতৃহারা কিশোর বরিশাল এ.কে.স্কুলের দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিলেন আলাউদ্দিন।
এছাড়া তিনি তৎকালীন ইপিআর এর গুলিতে বরিশাল অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ বরন করেন। শহীদ আলাউদ্দিন স্মৃতি সংসদ পটুয়াখালীর সভাপতি মুক্তিযোদ্বা মানষ দত্ত বলেন, আলাউদ্দিন এর লাশ বরিশালের নেতৃবৃন্দ নৌকাযোগে পটুয়াখালী পাঠিয়ে দেন। সেই সময় আমি এবং পটুয়াখালীর প্রয়াত ভাষা সৈনিক জালাল উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত রাজা মিয়া (ভিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিলাল সরকার, এডভোকেট গাজী আনোয়ার, এডভোকেট জহরলাল চক্রবর্তী আলাউদ্দিন এর লাশ গ্রহণ করি। তৎকালীন এসডিও’র ল্যান্ডিং স্টেশন (বর্তমান শহীদ আলাউদ্দিন উদ্যান শিশু পার্ক) এ জানাযার প্রস্তুতি নিলে প্রশাসনের বাধার মুখে লাশ জানাযা না দিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। শহীদ আলাউদ্দিন এর স্মৃতি রক্ষার্থে পায়রা সেতুর নাম আলাউদ্দিন এর নামে নামকরণের দাবী জানাচ্ছি।
শিশু সংগঠন খেলাঘর পটুয়াখালীর সভাপতি সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জাফর আহমেদ বলেন নতুন প্রজন্মের কাছে অবশ্য ই স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। আমরা আলাউদ্দিন এর নামে সেতু টির নামকরণের জোর দাবী জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী দিলিপ বলেন সেতুর দুই পারে প্রতিকৃতি সহ “শহীদ আলাউদ্দিন সেতু” নামে সেতুটি চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
মাত্রাতিরিক্ত টোলঃ
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের লেবুখালী পায়রা সেতুতে মাত্রাতিরিক্ত টোল নির্ধারণে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের মালিক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে পায়রা সেতু পারাপারে অতিরিক্ত টোল নির্ধারণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র বিতর্কের ঝড় বইছে। গত ১৮ মার্চ সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের (টোল অধিশাখা) উপসচিব ফাহমিদা হক খান স্বাক্ষরিত এক গেজেটে সেতুটির টোল নির্ধারণ করা হয়।
এতে পায়রা সেতুতে ট্রেইলার ৯৪০ টাকা, হেভি ট্রাক ৭৫০, মিডিয়াম ট্রাক ৩৭৫, বড় বাস ৩৪০, মিনি ট্রাক ২৮০, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান ২২৫, মিনিবাস-কোস্টার ১৯০, মাইক্রোবাস ১৫০, ফোর হুইলচালিত যানবাহন ১৫০, সেডান কার ৯৫, ৩-৪ চাকার যান ৪০, মোটরসাইকেল ২০ এবং রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, ঠেলাগাড়ি ১০ টাকা হারে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. রিয়াজ মৃধা জানান, লেবুখালী পায়রা সেতুর টোল ফেরির তুলনায় তিনগুণ ধরা হয়েছে। এভাবে হলে কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা অতিরিক্ত টোলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করব।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বরিশাল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, ফেরি ও সেতুর টোলের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। সড়ক পরিবহন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে টোল নির্ধারিত হয়ে থাকে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।