প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২১, ১৫:৩৯
ফের করোনা টিকা না দিয়ে শরীরে সিরিঞ্জ পুশ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। অবশ্য এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘটনা জানাজানির পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হান্নানের মেয়ে সাবাহ মারিয়ম অন্তিকা করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে টিকা দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে বসানো হয়। এরপর টিকা ছাড়াই খালি সিরিঞ্জ তার শরীরে পুশ করা হয় বলে অভিযোগ।
মেডিকেল শিক্ষার্থী সাবাহ মারিয়ম অন্তিকার বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে নম্র ও শান্ত স্বভাবের। টিকা কেন্দ্রে কাউকে কিছু না বলে বাসায় এসে মোবাইল দিয়ে আমার কাছে কান্না শুরু করে। আমি জানতে চাইলে সে বলে, টিকা ছাড়াই তার শরীরে সিরিঞ্জ পুশ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবী করছি। প্রয়োজনে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
টিকা কেন্দ্রে কোন নার্স দায়িত্বে ছিলেন এ তথ্য জানতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। ঘটনাটি কি ঘটেছিল। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। কোন নার্স শরীরে শূন্য সিরিঞ্জ পুশ করেছিলেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, দুপুর ৩টা পর্যন্ত আমি হাসপাতালেই ছিলাম। এ ধরণের কোন ঘটনা আমার কানে আসেনি বা আমাকে কেউ জানায়নি। এই মাত্র আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ পেলে এবং প্রমাণিত হলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আপনার কাছ থেকে জানলাম। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আমি বিষয়টি জ্ঞাত নই।