প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২১, ২৩:১৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করেছেন মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা। সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একাংশ দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিলে মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা তাদের বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে খিজির হায়াতকে দলীয় কার্যালয়ের ভেতর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা হয়। কাদের মির্জার সমর্থকরা তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় মেয়র কাদের মির্জা তার সমর্থকদের শান্ত করেন।
খিজির হায়াত খান অভিযোগ করেন, বিকেল ৫টার দিকে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পাশের একটি কক্ষে নতুন করে কার্যালয় করার জন্য আসেন। ওই সময় মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী কার্যালয়ের অফিসে এসে এখানে অফিস করা যাবে না বলে বাধা দেন।
প্রথমে তারা কলার ধরে তাকে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে কলার ধরে রাস্তায় নিয়ে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন।
তিনি বলেন, এ সময় কাদের মির্জা আমাকে ধরে রাখেন। আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গণমাধ্যমকে বলেন, খিজির হায়াত খানের ওপর কাদের মির্জার বাহিনী হামলা চালিয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একাংশ ও মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা রূপালী চত্বরে মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরে পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।