প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২১, ১৫:২৯
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভূট্টা চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা দ্বিগুন হওয়ার প্রত্যাশা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬৪৮ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
অন্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক ফলন ও বেশী লাভ হওয়ার পাশাপাশি বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ১ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ বলছে, ভূট্টা অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি গবাদি পশু ও মাছের খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। ভুট্টার পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।
গবাদি পশুর খাদ্য ও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে অনেক কৃষক ভুট্টা চাষ করছেন। উপজেলার পতিত জমিগুলো ভুট্টা চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। ভুট্টা চাষে চরাঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। বিরান চরে বিরাজ করছে সবুজের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে সবুজ ঢেউ।
উপজেলার চর উত্তর তিলাই গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, ভূট্টা চাষ করতে সার ও সেচ কম লাগে, ফলন অন্য ফসলের তুলনায় বেশী হয়। তাই ধান চাষ না করে ভুট্টা চাষ করছি। গছিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আয়নাল হক বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি। আশা করছি বেশ ভালো ফলন পাবো।
চর পাইকের ছড়ার প্রান্তিক কৃষক রফিকুল বলেন, খড়ের যা দাম তাতে গরু-ছাগলের খাবার যোগাড় করা কষ্টকর। তাই দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ভূট্টা আবাদ করেছি। এতে আমাদের ও গরু-ছাগলের এক বছরের খোরাক হয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার জমিগুলো ভুট্টা চাষের উপযোগী। লাভজনক এই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে কৃষি অফিস থেকে সব রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভুট্টার উৎপাদন নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দ্বিগুন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।