প্রকাশ: ৩ মার্চ ২০২১, ১৪:১
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ এই ৬ টি ঋতুর মধ্যে বসন্ত ঋতুতে সেজে উঠেছে বাংলার প্রকৃতি।বসন্ত ঋতুতে কোকিলের কুহু-কুহু শব্দে যেন প্রকৃতি মুখরিত হয়ে যায়। প্রকৃতি যেন মনে হয় বর্ণীল সাজে সেজে হাতছানি দিচ্ছে।
শিমুল ফুলের স্নিগ্ধতা দেখা মিলেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা রেলব্রীজসহ সলপের রাস্তার ধারে সাড়ি সাড়ি গাছে দেখা মিলেছে শিমুল ফুলের সমাহার। এই সড়কে যে দিকে চোখ যায় লাল রংঙের শিমুল ফুলের দৃশ্য দেখে মন ভরে ওঠে।সকাল থেকে সন্ধান পর্যন্ত জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃতি প্রেমিরা ছুটে আসেন এই দৃষ্টিনন্দন ফুলের সমাহার দেখতে।
এসময় কথা হয়, প্রকৃতি প্রেমি উল্লাপাড়া এইচ,টি,ইমাম ডিগ্রী কলেজের প্রধান অফিস সহকারী মোঃ আব্দুল ওয়ারেছ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে দেশের পরিবর্তন হওয়ায় মানুষ গাছপালা ও বন উজাড় করে দালান কোটা নির্মাণ করছে।ফলে প্রকৃতি তার সুন্দর রুপ হারাতে বসেছে।
আর বিশেষ করে শিমুল গাছ বানিজ্যিক ভাবে কেউ রোপন করে না।তবে বসন্তের সময়ে কৃষকের বাড়ি, জমি ও রাস্তার ধারে শিমুল ফুল যখন ফোটে তখন প্রকৃতি তার রুপ নিতে শুরু করে।আর এই রুপের সোভা ছড়ায় দর্শনার্থীসহ প্রকৃতি প্রেমিদের মাঝে।
কথা হয় স্থানীয় পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজের সাথে তিনি বলেন,উল্লাপাড়া উপজেলায় তেমন দর্শনীয় স্থান না থাকায় এই বসন্তের সময় এই সব রাস্তার ধারে শিমুল ফুলের সমাহার দৃশ্য দেখতে অনেক লোক ভিড় জমায়।
অনেকেই এখানে এসে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।ছবিগুলো তোলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ছড়িয়ে দেন তখন শিমুল ফুলের দৃশ্য দেখতে আরো সুন্দর লাগে। আর এতে করে এলাকায় এখন লোকজনের সমাগম বেশি।
উল্লাপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহিদুজ্জামান বলেন,বসন্ত ঋতুতে শিমুল গাছের শিমুল ফুলের দৃশ্য দেখতে খুব সুন্দর লাগে।তবে উল্লাপাড়াতে বানিজ্যিকভাবে শিমুল গাছের বাগান নেই।তবে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে জমি,বাড়ি ও রাস্তার ধারে কিছু গাছ রোপন করে থাকে। শুধু শিমুল ফুল দেখতেই সুন্দর না,বরং এর তুলা থেকে মানুষ নানা জিনিস তৈরি করে আর্থিক লাভমান হচ্ছে।