প্রকাশ: ১ মার্চ ২০২১, ১২:১৪
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(তৎকালীন) জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম ২০০৩ সালে হাতিয়া উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি ভবন উদ্ভোধন করেন। জ্ঞান চর্চা ও বিকাশের লক্ষ্যে দ্বীপের বইপ্রেমী মানুষদের নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই আলোকবর্তিকাটি নবীন-প্রবীন বইপ্রেমীদের হৃদয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছিল।
দীর্ঘ দেড় যুগ পরে এই আলোকবর্তিকাটির কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্মৃতিপলকটিও আর নেই। উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির জন্য নির্ধারিত জায়গায় এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও আমার বাড়ি আমার খামারের সুদৃশ্য অফিস।
লাইব্রেরির দায়িত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কাজী আওরঙ্গজেব বলেন, "প্রায় ১৪০০ গুরুত্বপূর্ণ বই থাকলেও ১৯৯১ সালের বন্যায় অনেক বই নষ্ট হয়ে যায়। বহু কষ্ট করে দূর দূরান্ত থেকে অনেক বই সংগ্রহ করেছি। চমৎকার তিনটি বইয়ের তাক ছিল। উপজেলা প্রশাসনের অবহেলার কারনে আমাদের স্বপ্নের লাইব্রেরিটি আজ অস্তিত্বহীন।
লাইব্রেরির ব্যাংক হিসাব থেকেও অবৈধভাবে আমার অজান্তে ৫০০০০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বারবার বলার পরেও লাইব্রেরিটি পুনরায় চালু করার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি।"জানা যায়, হাতিয়া উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে একসময় বই ও আসবাবপত্রের সমৃদ্ধ সংগ্রহ ছিল। অফিসার্স ক্লাবের কার্যক্রম এই লাইব্রেরি থেকেই পরিচালনা করা হতো।
নিজস্ব ভবন/কক্ষ না থাকায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমও এই লাইব্রেরি থেকেই পরিচালিত হতো। কালের পরিক্রমায় অফিসার্স ক্লাবের নিজস্ব কক্ষ এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব ভবন হলেও বর্তমানে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির কোন অস্তিত্বই নেই।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. ইমরান হোসেন বলেন, " বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।"দ্বীপের শিক্ষিত সচেতন মহল উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।