প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১৮:৬
মেহেরপুরে পুলিশের কনস্টেবল পদে মাত্র ১২০ টাকার সরকারি ফি জমা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন ৯ জন তরুণ-তরুণী। এই আনন্দঘন ঘোষণা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর পুলিশ লাইনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম।
জেলার তিনটি উপজেলার মধ্য থেকে নির্বাচিত ৯ প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের জন্য। প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ে অংশ নেন ৪৭৮ জন, যাদের মধ্য থেকে ধাপে ধাপে শরীরিক, লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৯ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন, যিনি মুজিবনগরের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারজানা খাতুন। তিনি বলেন, দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর এবার চাকরি পেয়ে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল পুলিশের পোশাক পরে দেশের সেবা করা।
বল্লিয়ারপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন জানান, এত সহজে সরকারি চাকরি পাবেন তা কখনো ভাবেননি। ১২০ টাকার বিনিময়ে মেধার ভিত্তিতে এই সাফল্য অর্জন করে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন তিনি।
একইভাবে কুতুবপুর গ্রামের কৃষকের ছেলে মমিনুর ইসলাম জানান, কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আজকের এই সাফল্য এসেছে। বাবা-মায়ের ত্যাগ আর নিজের চেষ্টা মিলিয়েই এই অর্জন বলে জানান তিনি।
জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রার্থীরা জানান, কোন প্রকার তদবির বা ঘুষ ছাড়াই এমন স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতি তাদের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা আরও বাড়িয়েছে।
এ নিয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি এবং মেধা ও যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত ৯ জন তরুণ-তরুণী এখন শুধু পরিবারের নয়, পুরো জেলার গর্ব। তাদের এই সফলতা দেখাচ্ছে—যোগ্যতা ও নিষ্ঠার মূল্য দেওয়া হলে বদলে যেতে পারে হাজারো জীবন।