প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৭
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এবার দুই বাংলার বাংলাদেশ-ভারত মিলন মেলা বসছে না। মুলত করনার কারণে স্বাস্হ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করনা পরিস্হিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আবার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজন কমিটির সদস্যরা।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, প্রতি বছর হিলি সীমান্তের শুণ্য আঙিনায় (বাংলাদেশ অংশে) একুশ ফেব্রুয়ারি আন্তরর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই আয়োজন করা হয়। সেখানে স্হাপিত অস্হায়ী শহীদ মিনার ঘেঁষে বিশাল মঞ্চ তৈরী করা হয়। দুই দেশের রাজনৈতিক, সমাজসেবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের নিয়ে চলে সারাদিন ব্যাপী আলোচনা সভা,
গান, নৃত্য আর কবিতার আসর। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা হয় ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য আত্মদানকারী সেই সকল শহীদদের। কিছুক্ষণের জন্য হলেও সকল ভেদাভেদ ভুলে যান এই দুই দেশের বাংলা ভাষি মানুষরা। তবে এবারকার চিত্র ভিন্ন। মহামারী করনার কারণে সকলের স্বাস্হ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এবারের হিলি সীমান্তে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হছে না।
প্রথম উদ্যাক্তা ও সাপ্তাহিক আলাকিত সীমান্তে’র সম্পাদক ও এনটিভির হিলি প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, এবার করনার কারণে হিলি সীমান্তে একুশ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হছে না। ইতিমধ্য ভারতের পশ্চিমবাংলার বালুরঘাট ও আমাদের এখানকার আয়োজকদের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সীমান্তে এই আয়োজন অব্যাহত রাখতে ওইদিন আমরা ওপার বাংলার আয়োজকদের সাথে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে একুশের আলোচনাসভা অনুষ্ঠান করা হবে। করানা পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আবার হিলি সীমান্তে অনুষ্ঠান করা হবে। ২০১৫ সাল থেকে স্হানীয়দের সহযোগিতায় হিলি সীমান্তে এই আয়োজন করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবাংলার বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ জানান, ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণে আমরা হিলি সীমান্তে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন করে আসছি। এবার করনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বালুরঘাটের তিওড়ে ছোট্ট পরিসরে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করছি। সেখানে বাংলাদেশের আয়োজকদের আম্ন্তরণ জানানো হয়েছে।