প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:১২
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে চলমান অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে গুইমারায় তিন যুবক নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতরা সবাই গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা হলেন রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে ও পিকআপ ড্রাইভার তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ছাবের জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহ গ্রহণের সময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিগত চার দিন ধরে ‘জুম্ম ছাত্র–জনতা’ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রোববার দুপুরে গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে শুধু প্রাণহানি নয়, আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। একই দিনে সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য, বিজয় টিভির খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা আহত হন।
নিহতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিহতদের পরিবার ও স্বজনরা বিচার দাবিতে শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনে নামলেই গুলি চালানো হচ্ছে, যা অমানবিক।
এদিকে, টানা অবরোধ ও সহিংসতায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। যান চলাচল প্রায় বন্ধ থাকায় বাজার-ঘাটে প্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন শান্তি ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তবে কবে নাগাদ উত্তেজনা প্রশমিত হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।