রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় একটি ওল কচুর ওজন ২০ কেজি। যার বাজার মূল্যে ৮শত টাকায় বিক্রি করেছে আদর্শ কৃষক হুমায়ন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কৃষক হুমায়ন আহমেদ তার নিজস্ব জমিতে আবাদের ২০ কেজি ওজনের একটি ওল কচু নিয়ে আসেন গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিসে। এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি ৪০ টাকা কেজি মূল্যে ৮শত টাকা দিয়ে কিনে নেয়। এসময় উপজেলা চত্বরে ২০ কেজি ওজনের ওল কচুটি দেখতে একনজর ভীর জমে যায়। অনেকে ওল কচুটি হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন।
কৃষক হুমায়ন আহমেদ বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকার কৃষি ফসল আবাদ ও প্রদর্শনী করি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক লাভবান হয়েছি, এমনকি আমাকে দেখে গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন কৃষক এ সকল ওল কচু চাষ করছে। অনেকে আমার কাছে এসে পরামর্শ নেয়। তিনি আরোও বলেন, কৃষি কাজ করে সফল হওয়া যায় সেটা আমি জেলার একজন উদাহরণ। আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ শুরু করে বর্তমান গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ২শত বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফসলের প্রজেক্ট করেছি। জেলার সেরা কৃষক হওয়ায় বিভিন্ন কোম্পানীর মাধ্যমে তুরস্ক, নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ খোকন উজ্জামান বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওলকচুর প্রদর্শনী খামার পরিদর্শন করা হয়। যেখানে কৃষক ওলকচু ১০ থেকে ১৫ কেজি উত্তোলন করেছে। তবে পরিচর্যা ভাল হলে এর ওজন আরোও বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি আরোও বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলায় এই জাতীয় বিশেষ করে কন্দাল ফসলের তেমন পরিচিত ছিল না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কন্দাল ফসল যেমন ওলকচু, গাছ আলু, মিষ্টি আলু, পানি কচু, লতি কচু সহ বিভিন্ন ফসল। এসকল ফসল বর্তমান গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে। এসকল ফসল ক্রয়ক্ষমতার আওতায় রয়েছে। আবার কৃষকও অনেক লাভবান হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।