কোটা পদ্ধতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে কোটা প্রয়োগ নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

অপরদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করবে। একইভাবে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করবে।

এছাড়া, গত বছর কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও উচ্চ আদালতের রায়ের পর, বর্তমানে সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হয়। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটার ভিত্তিতে। এই ৭ শতাংশের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়।

এই কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি সম্প্রতি মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আরও আলোচিত হয়েছে।