প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১২
দেশজুড়ে আবারও বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের চারটি বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অন্তত সাতটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং এসব অঞ্চলের তৎসংলগ্ন ভারতের প্রদেশগুলোয় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এই বৃষ্টির প্রভাবে নদ-নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বেড়েছে। আগামী দুই দিন এই নদীগুলোর পানি আরও বাড়তে পারে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী ও ভুগাই-কংস নদীর পানি সমতল কিছুটা কমলেও আগামী দুই দিনে তা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, সোমেশ্বরী ও ভুগাই-কংস নদীর পানি সতর্কসীমা ছুঁতে পারে। তবে তিন দিন পর এসব নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের যমুনেশ্বরী, করতোয়া, আপার-করতোয়া, আপার-আত্রাই ও আত্রাই নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পুনর্ভবা, টাঙ্গন ও মহানন্দা নদীর পানি সমতল এখনো স্থিতিশীল রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রীয় সূত্র জানায়, আগামী দুই দিন এসব নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং তৃতীয় দিনে পানি সমতল স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে। ফলে উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলোতে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবরের শুরুতেই এমন ভারী বৃষ্টিপাত মৌসুমি প্রভাবের অংশ হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ও সময়কাল অনিয়মিত হচ্ছে। ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও আকস্মিক প্লাবনের ঝুঁকি বাড়ছে, যা কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।