প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১১:১৮
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, যা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং সমুদ্র অশান্ত হয়ে উঠেছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে। ফলে সমুদ্র বুকে সৃষ্ট ঢেউ এখনই ছোট ট্রলার চলাচলের জন্য বিপজ্জনক।
এরইমধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা, সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া জনজীবনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটিয়েছে। বিশেষ করে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষজন ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, দেশের উপর দিয়ে একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয় প্রবাহিত হচ্ছে। এটি চলতি বছরের পঞ্চম বৃষ্টিবলয় হলেও এটি প্রথম মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যা আগামী ৩ জুন রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এই বৃষ্টিবলয়ের কারণে দেশের প্রায় সব বিভাগেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে বিডব্লিউওটি।
ঢাকায় ১৭০-২২০ মিলিমিটার, খুলনায় ১৬০-২৫০ মিলিমিটার, বরিশালে ১৬০-২৫০ মিলিমিটার, সিলেটে ২০০-৩৫০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৫০-২২০ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ৮০-১৪০ মিলিমিটার, রংপুরে ১৭০-৩০০ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রামে ১৯০-৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও সমুদ্রের অবস্থান আশঙ্কাজনক হওয়ায় জেলেদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উপকূলবর্তী মানুষদের নিরাপদে থাকতে ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মানার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।