কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার ও ব্যাখ্যা আইএসপিআরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:২০ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার ও ব্যাখ্যা আইএসপিআরের

কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে স্থানীয় দুর্বৃত্তদের হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করেছে।


আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কক্সবাজারের সমিতিপাড়ার কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনাটি ঘটে, যখন বিয়াম স্কুলের পাশে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে একজন স্থানীয় ব্যক্তির মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমান বাহিনীর প্রভোস্ট ঘাঁটির ভিতরে নিয়ে যান। পরে, আনুমানিক দুই শতাধিক লোক বিমান বাহিনীর ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয়ে বাহিনীর সদস্যদের বাধা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিমান বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সময় দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে, যার ফলে চারজন বিমান বাহিনীর সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে একজন অফিসার এবং তিনজন বিমানসেনা ছিলেন।


এ ছাড়া, শিহাব কবির নাহিদ নামক এক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। বিমান বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন।


আইএসপিআর জানায়, বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন রাষ্ট্রীয় স্থাপনা রক্ষার জন্য, তবে কোনো প্রকার তাজা গুলি ছোড়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার ছড়িয়ে গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিহত যুবকের ঘটনা সম্পর্কে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কিছু মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই ঘটনা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটিকে ভুলভাবে "বিমান বাহিনী ঘাঁটি শেখ হাসিনা" হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, যা ভিত্তিহীন। ঘাঁটির নাম ২০২১ সালে পরিবর্তিত হয়ে "বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার" রাখা হয়েছে।


আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের আকাশসীমা রক্ষার পাশাপাশি দেশের জনগণের কল্যাণে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। বিমান বাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।