প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১০:৫৪
সৌদি আরব ক্রীড়াঙ্গনে তাদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে একের পর এক বড় উদ্যোগ নিচ্ছে। ফুটবলে বিশাল বিনিয়োগের পর এফআই রেসিং, টেনিস, রেসলিং, গলফ, বক্সিং ও মোটর স্পোর্টসেও সক্রিয়ভাবে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে দেশটি। এবার তাদের নজর ক্রিকেটে। তবে ক্রিকেটে পা রাখার প্রয়াসে প্রথম ধাক্কাই এল ভারত ও ইংল্যান্ড থেকে।
সৌদি সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এসআরজে স্পোর্টস 'সৌদি টি-টোয়েন্টি লিগ' নামে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে, যার জন্য নির্ধারিত হয়েছে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) শুরুতেই এই উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সময় ভারত ও ইংল্যান্ডের বোর্ড কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেন এবং যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেন তারা তাদের কোনো খেলোয়াড়কে সৌদি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশগ্রহণের জন্য অনাপত্তিপত্র দেবেন না। এই সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি লিগে ভারত ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ একরকম নিষিদ্ধই হয়ে গেল।
ভারত ও ইংল্যান্ডের এমন অবস্থানের ফলে সৌদি আরবের ক্রিকেট উদ্যোগের ওপর চাপ বেড়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং নতুন এই লিগকে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন পথে হাঁটছে। তারা সৌদি লিগের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রসর হয়েছে এবং সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যও এক—বিগ ব্যাশ লিগে বেসরকারি বিনিয়োগ আনার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের পরিধি বাড়ানো। তাই সৌদি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।
সৌদি টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু হওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনায় রয়েছে আটটি দল নিয়ে প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে গ্র্যান্ড স্ল্যাম স্টাইলের আয়োজন। তবে ভারত ও ইংল্যান্ডের বিরোধিতার কারণে প্রথম দিকেই বড় তারকা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রশ্নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে এই নতুন লিগকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে সৌদি আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা এবার ক্রিকেটে প্রবেশের চেষ্টা করলেও, এটি সহজ হবে না। বিশেষ করে যদি বড় ক্রিকেট দেশগুলো শুরুতেই মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে সৌদি টি-টোয়েন্টি লিগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকেই গড়াতে পারে।