প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১১:১৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
গল টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর্দা নেমে যায়। আগের দিন শেষ বিকেলে ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের পক্ষে আর বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা ছিল না, বাস্তবতাও মেলেনি।
তৃতীয় দিনের মাত্র তৃতীয় ওভারে, সবমিলিয়ে মাত্র ১৬ বল খেলেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারী দল। নাহিদ রানা শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন আসিতা ফার্নেন্দোর বলে, শূন্য রানে ফিরে যান ডানহাতি এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ৪৯৫ রানে, যেখানে প্রথম দিনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা।
এই ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার খেলেন অনবদ্য ১৬৩ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি ছিল ধৈর্য, কৌশল আর পরিপক্কতার অনন্য নিদর্শন।
নাজমুল হোসেন শান্তও চমৎকার ব্যাটিং উপহার দেন। দুই বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া শান্ত ইনিংস সাজান ১৪৮ রানে, যেটি তার অন্যতম সেরা টেস্ট ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হবে।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন লিটন দাস, যিনি সেঞ্চুরি মিস করলেও ৯০ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের বড় সংগ্রহে অবদান রাখেন।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা স্নায়ুচাপ সামলে ভালো ব্যাটিং করেন। ফলে প্রথম ইনিংসে ৪০০ ছাড়িয়ে ৪৯৫ রানে পৌঁছায় দল।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন আসিতা ফার্নেন্দো। তিনি ৮৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন।
এই ইনিংস শেষে এখন নজর শ্রীলঙ্কার জবাবি ইনিংসের দিকে। গলের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও দিনের শেষভাগে স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। ফলে বাংলাদেশের বোলারদেরও এখন দায়িত্ব নিতে হবে।
ম্যাচের গতি এখন নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের ওপর, এবং পরবর্তী দিনে টেস্টের চিত্রপট বদলে যেতে পারে যে কোনো সময়।