সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের পেসাররা জোরালো প্রত্যুত্তর দিয়েছেন। প্রথম দিনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর দ্বিতীয় দিনের সকালেই নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ জিম্বাবুয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের বিদায় করে ম্যাচে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
গতকালের ব্যাটিং কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আজ সকাল থেকেই বাংলাদেশের বোলাররা আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে মাঠে নামেন। জিম্বাবুয়ে তাদের ইনিংস শুরু করে ৬৭ রান নিয়ে, কিন্তু দ্রুতই দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারানকে হারায় তারা। নাহিদ রানা প্রথমে কারানকে ১৮ রানে ফেরান, এরপর বেনেটকেও ৫৭ রানে লব্ড করে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন।
হাসান মাহমুদও পিছিয়ে থাকেননি। তিনি তৃতীয় উইকেট শিকারে নিক উইলসকে মাত্র ২ রানে ফেরানোর মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের রান প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯১ রান, আর জিম্বাবুয়ে এখনও সেই তুলনায় ১০৩ রান পিছিয়ে আছে।
গতকালের দিনটি বাংলাদেশের জন্য খুবই হতাশাব্যঞ্জক ছিল। ব্যাটিং অর্ডার সম্পূর্ণ ধসে পড়ায় তারা মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয়। জিম্বাবুয়ের ওপেনাররা তখন সহজেই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তবে আজকের সকালের পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ দল ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
ম্যাচের বাকি সময়ে বাংলাদেশের বোলাররা যদি এই ধারা বজায় রাখতে পারে, তাহলে জিম্বাবুয়ের ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে ফেলা সম্ভব। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদেরও দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, কারণ টেস্ট ক্রিকেটে একদিনের পারফরম্যান্সই ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারে।
স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা এখন উত্তেজনায় ভরপুর। বাংলাদেশের ফ্যানদের আশা, তাদের বোলাররা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনবে। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ে দল প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ম্যাচের ফলাফল অনেকাংশেই নির্ভর করবে আজকের শেষ পর্যন্ত উভয় দলের পারফরম্যান্সের উপর। বাংলাদেশ যদি আরও কয়েকটি দ্রুত উইকেট পেতে পারে, তাহলে তারা ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব হলো, বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে রুখে দিয়ে স্কোরবোর্ডে চাপ তৈরি করা।