জাতীয় দলে অভিষেকের দিনে ঝলক দেখালেন হামজা ও ফাহামেদুল

দীর্ঘদিন পর আবারও গ্যালারি মাতাতে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। বুধবার ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরেছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচটিকে সামনে রেখে তৈরি হয়েছে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতির মঞ্চ, যেখানে শুরুতেই আলো ছড়িয়েছেন হামজা চৌধুরী।

ম্যাচের শুরুতেই ষষ্ঠ মিনিটে দর্শনীয় এক গোলে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা মিডফিল্ডার হামজা। এই ম্যাচ দিয়েই দেশের মাটিতে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হলো তার, যা অনেক দিন ধরেই ফুটবলপ্রেমীরা প্রত্যাশা করছিলেন।

শুধু হামজা নন, আজকের ম্যাচের মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটেছে ফাহামেদুল ইসলাম ও কাজেম শাহ কিরমানিরও। এদের মধ্যে ফাহামেদুলের কাহিনীটা খানিকটা আলাদা। মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিতে সৌদি আরবে ক্যাম্প করলেও সেবার স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। সেখান থেকেই তাকে ফিরতে হয় ইতালিতে। অবশেষে আজ অভিষেকের স্বাদ পেলেন এই তরুণ প্রতিভাবান মিডফিল্ডার।

এই প্রীতি ম্যাচটি মূলত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের প্রস্তুতির অংশ। তাই শক্তিশালী একাদশ নিয়েই মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। অভিজ্ঞদের সঙ্গে তরুণদের মিশেলে গড়া এই দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ।

মাঠে নেমেই বাংলাদেশ দাপটের সাথে খেলা শুরু করে। শুরুতেই গোল করে চাপে ফেলে প্রতিপক্ষকে। মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে জামাল ভুঁইয়ার নেতৃত্বাধীন দল।

দলে নতুনদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দৃঢ়তা এই ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। গোলরক্ষক মিতুলের রক্ষণভাগে উপস্থিতি এবং রাকিব-সাদদের উইং থেকে আক্রমণ বারবার ভুটানের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।

বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন তপু বর্মন, জামাল ভুঁইয়া (অধিনায়ক), হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তারিক রায়হান কাজী, ফাহামেদুল ইসলাম, সোহেল রানা, কাজেম শাহ কিরমানি, সাদ উদ্দিন ও তাজ উদ্দিন।