প্রকাশ: ৭ জুন ২০২৫, ১৩:৪১
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার তুলাপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজের আগে তিনি এই মন্তব্য করেন। তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের পর ডা. শফিকুর সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও ঈদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ঈদুল আজহা হলো ত্যাগ, আত্মনিয়োগ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এই মহিমান্বিত দিনে সবাইকে অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতি যেন নির্বাচন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচন সংস্কারে যথাযথ উদ্যোগ না নিলে জাতির সামনে স্থায়ী সমাধান আসবে না। তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন এবং ভোটের জন্য সমতল মাঠ গড়ার মাধ্যমে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হওয়া সম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের মানুষের ভোট দেওয়ার সুযোগ গত কয়েক নির্বাচনে কম হয়েছে, তাই এবার নতুন ভোটার, বিশেষত যুবসমাজকে ভোটের পূর্ণ অধিকার দিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কোনো সহযোগিতা চাইলে তারা তা দেবেন, তবে দেশের সংকট অবিলম্বে শেষ হওয়া জরুরি। তিনি বিদেশি সরকারের প্রভাবিত রাজনীতি থেকে দেশের মুক্তির প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। এ সময় সিলেট মহানগরী আমির মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের নামাজের আগে ডা. শফিকুর কোরআন ও হাদিসের আলোকে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের শিক্ষা তুলে ধরে একটি কল্যাণকর ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ত্যাগের এই শিক্ষা আমাদের সামনে নতুন দিশা দেখাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ঈদুল আজহার পবিত্র দিনে দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্য সকলের মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য ঐক্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।