যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় ৪৭তম স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। এটি একটি বিশাল অগ্রগতি, যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ইউএস নিউজের এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি, যা বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।
এবারের তালিকায় ভারত ১২তম স্থান অর্জন করেছে, যা তার আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং আঞ্চলিক শক্তির ওপর ভিত্তি করে উল্লেখযোগ্য। তবে, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ভুটান এবং মালদ্বীপের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, যা কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন তালিকায় ১৪তম স্থানে অবস্থান করছে, যা তার সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।
তালিকার মধ্যে ইসরাইল ১০ম স্থানে রয়েছে, যদিও এটি মধ্যপ্রাচ্যে গাজার ওপর বর্বর হামলার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত। তবে, সৌদি আরব ৯ম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১১তম, ইরান ১৬তম, তুরস্ক ১৭তম, কাতার ১৯তম এবং কুয়েত ২৫তম স্থানে রয়েছে, যা তাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক অবস্থানকে প্রতিনিধিত্ব করে। মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশ তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা, সামরিক বাজেট এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রভাব বৃদ্ধির জন্য পরিচিত।
এশিয়ার মধ্যে মালয়েশিয়া ৪৩তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের দেশ ইন্দোনেশিয়া ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে, যা এশিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে তাদের প্রভাবের একটি সুষ্ঠু প্রতিফলন। ইউএস নিউজের এই তালিকা মূলত দেশের সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক অবস্থা, বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা এবং পররাষ্ট্রনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। দেশগুলোর সামরিক বাজেট, নেতৃত্বের শক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কও এর মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে।
বাংলাদেশের ৪৭তম স্থান অর্জন নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয়, যা দেশের আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সামরিক শক্তির একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। পাশাপাশি, এটি বাংলাদেশকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে, এবং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দেশটির গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলবে।