ভূরুঙ্গামারীতে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে মহড়া ও আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , নিজস্ব প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ১০ই মার্চ ২০২৫ ০৮:১৩ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে মহড়া ও আলোচনা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে। "দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রস্তুতি, বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‍্যালি, আলোচনা সভা ও দুর্যোগ মোকাবিলার মহড়া।  


দিবসটি উপলক্ষে একটি র‍্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এ মহড়ায় দুর্যোগকালীন সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কৌশল প্রদর্শন করা হয়।  


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিবস পালন করা হয়। দুর্যোগের সময় সঠিক প্রস্তুতি থাকলে জানমালের ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।  


অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, দুর্যোগের সময় অবকাঠামোগত প্রস্তুতির পাশাপাশি জনসচেতনতাও জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ থাকলে বড় ধরনের দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।  


এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সমন্বয় ঘটাতে হবে। বিশেষ করে আগুন, বন্যা বা ভূমিকম্পের সময় কী করণীয় তা আগে থেকেই জানা থাকলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।  


উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, দুর্যোগ প্রতিরোধে কাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ে প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় দুর্যোগ প্রশমনে স্থানীয় জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।  


নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, অগ্নি নির্বাপণের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম রাখা জরুরি। অনেক সময় আগুন লাগলে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রশিক্ষিত মানুষ থাকলে এই ধরনের পরিস্থিতি সহজেই সামলানো সম্ভব।  


অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দুর্যোগ মোকাবিলার কৌশল ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন এবং এ ধরনের কর্মসূচি আরও ব্যাপকভাবে প্রচারের আহ্বান জানান।