রমজানের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ফল বাজারে চড়া দাম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে এবং ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, দাম আরও বাড়তে পারে। ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং তাদের এখন আর কিছু বলার নেই। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা কম পরিমাণে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরাইল বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, আপেলের দাম বর্তমানে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, মাল্টা ২৮০ টাকা, পেয়ারা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, তরমুজ সাইজ অনুযায়ী ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী লিটন জানান, প্রতিটি ফলের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে এবং বিশেষত আপেল ও মালটার দাম আরও বাড়বে। তিনি বলেন, কিছু আড়তদার মাল স্টক করে ফেলেছেন, ফলে পর্যাপ্ত ফল পাওয়া যাচ্ছে না, তাই দাম বেশি বাড়াতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সব ধরনের ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ফল ব্যবসায়ী সাব্বির মিয়া বলেন, তার দোকানে বিভিন্ন ধরনের আপেল বিক্রি হচ্ছে, যার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। তার ভাষায়, বাজার এখন অনেক চড়া হয়ে গেছে। কদিন আগেও এই আপেলের দাম কম ছিল, কিন্তু এখন ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পেয়ারার দাম আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল, এখন তা বেড়ে ১২০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে। পেঁপে প্রায় ২০০ টাকা কেজি এবং তরমুজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, রুবেল মিয়া জানান, কাল থেকে আবারও দাম বাড়বে এবং এ প্রবণতা পুরো রমজান মাসজুড়ে চলতে থাকবে। তার অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী মালামাল স্টক করে সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে তারা আগেও জিম্মি ছিল, এখনো আছেন। বাজারে আসা এক ক্রেতা জাকির বলেন, দাম বাড়ানোর ভয়েই তিনি আগেই ফল কিনতে এসেছিলেন, কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।
আরেক ক্রেতা ফরিদ বলেন, "আমরা কোথায় যাবো? কার কাছে বলবো?" তিনি জানান, তারা বারবার বিষয়টি তুলে ধরলেও কেউ কিছু করছে না। বাজারের লোকজনের আশঙ্কা, যদি কঠোর মনিটরিং না করা হয়, তবে রমজানে সাধারণ মানুষের জন্য জীবন আরও কঠিন হয়ে যাবে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন জানিয়েছেন, রমজান সামনে রেখে যারা মালামাল স্টক করে সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।