জয়পুরহাট সদর উপজেলার কেন্দুলী মাঝিপাড়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছেন মিলি আক্তার নামে এক নারী। সোমবার দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনশন করলেও প্রেমিক রতনকে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ এসে মিলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিলির বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। ২০২০ সালে পারিবারিকভাবে জয়পুরহাটের মাহফুজের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে দাম্পত্য কলহের কারণে মিলির সংসারে অশান্তি চলছিল।
এই সময় একই গ্রামের শ্রী সুনীল দাসের ছেলে রতনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে স্বামীর কাছে মিলির লেখা একটি প্রেমপত্র ধরা পড়ে, যা তাদের দাম্পত্য কলহ আরও বাড়িয়ে তোলে। শেষ পর্যন্ত মিলি স্বামী ও সন্তান রেখে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।
তবে অনশনের সময় রতনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মিলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি নুর আলম সিদ্দিক জানান, একজন নারী প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরবর্তীতে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মিলি যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি কোনো অভিযোগ করেননি।
এদিকে, প্রেমিক রতনের পরিবার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তারা জানিয়েছেন, রতন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।
ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টিকে পারিবারিক সমস্যা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও এভাবে অনশন করা উচিত হয়নি। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।