মেহেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে তিনটি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামে তিন ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে এসএইচবিসি ইটভাটার মালিক ইকরামুল হককে ২ লাখ টাকা, ফোর স্টার ব্রিকসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার অপরাধে ইকলাছুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা এবং বলাকা ব্রিকসের মালিক মিলন হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট পানি দিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে এবং এক্সকাভেটর দিয়ে বলাকা ব্রিকস ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন। তিনি জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ সনের ৫৯ নং আইনে দুটি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশদূষণ রোধে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোজফ্ফর খান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। গাংনী থানা পুলিশ ও বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে। অভিযানের সময় বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
ভাটাগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল এবং প্রত্যেক ইটভাটায় কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ একর তিন ফসলি জমি ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০৮টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পর্যায়ক্রমে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে। পরিবেশদূষণ রোধ ও কৃষিজমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ পদক্ষেপে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।