গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
শুক্রবার রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ির সামনে হামলার শিকার হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। আহতদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে এবং হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
হামলার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন যেখানে তিনি লেখেন, গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষদিন আজ, আমরা আসছি। এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয় এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পর শনিবার গাজীপুরে বিক্ষোভ ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা দোষীদের শাস্তির দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাধারণ জনগণের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় আন্দোলন আরও ব্যাপক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে টহল জোরদার করেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং হামলার ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে।
গাজীপুরের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা হামলার সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার সঠিক সমাধান না হলে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়তে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।