কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে চার লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ ঘটনায় কোনো পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে নাফ নদীর তীরবর্তী আদমের জোড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির দুটি বিশেষ দল নাফ নদীর তীরে কৌশলগত অবস্থান নেয়। রাত দেড়টার দিকে পাঁচজন ব্যক্তি নৌকাযোগে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে কেওড়া জঙ্গলের দিকে যেতে থাকে। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়। দীর্ঘ অভিযান শেষে কেওড়া বাগান, নদীর তীর ও কর্দমাক্ত স্থান থেকে চারটি বিশেষভাবে মোড়ানো ব্যাগ ও বস্তার ভেতর চার লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদক ও মানব পাচারের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে নাফ নদী ও সাগরপথ ব্যবহার করে চোরাচালান অব্যাহত রয়েছে। বিজিবি মাদকদ্রব্য ও মানব পাচার রোধে কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে তারা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতন করতে হবে, যাতে তারা পাচারকারীদের সহযোগিতা না করে। বিজিবি এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদক পাচার রোধ করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সকলের সহযোগিতায় সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।