শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় মোবাইল কোর্টের জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় মোবাইল কোর্টের জরিমানা

শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৫ জানুয়ারি বিকেলে সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা গ্রামে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়। 


অভিযানে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সদস্যরা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দাস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সড়কের পাশে অবৈধ মাটি কাটার কারণে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং বাঁশ দিয়ে বাঁধা দেয়া হয়। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসলাম উদ্দিন বলেন, "ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আজকের অভিযান সিন্দুরখান ইউনিয়নে অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে ছিল এবং গত বুধবার সদর ইউনিয়নে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।" 


তিনি আরো জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর, আশিদ্রোন এবং সিন্দুরখান ইউনিয়নে এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য ইউনিয়ন সচিবদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, এলাকাবাসীও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করতে শুরু করেছেন যাতে মাটির গাড়ি ওই এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে। 


এছাড়া, শ্রীমঙ্গলে মাটি কাটা এবং বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং তারা জানিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটার ফলে কৃষি জমি এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 


এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে। বিশেষ করে, মাটি কাটার মতো অপরাধ বন্ধে স্থানীয় জনগণকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 


এধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থানীয় জনগণের জন্য এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফসলি জমি রক্ষায় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা এলাকাবাসীর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, কৃষি জমির সুরক্ষায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 


এই ধরনের অভিযানগুলোই পরিবেশ রক্ষা ও কৃষির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে এবং এটি অন্যান্য এলাকায়ও সম্প্রসারিত হতে পারে। শ্রীমঙ্গলের মানুষ আশাবাদী যে প্রশাসনের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং তাদের কৃষি জমি নিরাপদ থাকবে। 


অভিযান চলাকালীন, স্থানীয়রা প্রশাসনের সঙ্গে মিলে ফসলি জমি রক্ষায় কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন এবং তারা তাদের জমি সুরক্ষিত রাখার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন।