হিলিতে ওএমএসের চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:১১ অপরাহ্ন
হিলিতে ওএমএসের চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি পৌর এলাকায় স্বল্প মূল্যে চাল কিনতে নিম্নআয়ের মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল কিনতে প্রতিদিন শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে প্রতিজন ৫ কেজি করে চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। পৌরসভার দুইটি নির্ধারিত পয়েন্টে এ কার্যক্রম চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়। ক্রেতারা স্বল্প মূল্যে চাল কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।  


সরেজমিনে দেখা গেছে, হিলি বন্দরের চারমাথা মোড়ে পুরুষ ও নারীরা দুইটি লাইনে দাঁড়িয়ে চাল সংগ্রহ করছেন। অনেকেই সকাল থেকেই লাইনে অবস্থান নিচ্ছেন। এক যুবক বলেন, বাজারের চালের দাম অনেক বেশি। স্বল্প আয়ের মানুষ হিসেবে এ চাল পেয়ে আমি খুব খুশি। ময়মনা বেগম নামে এক নারী বলেন, বাজারে ৫ কেজি চাল কিনতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগে, এখানে ১৫০ টাকায় পাচ্ছি। চালের মানও ভালো।  


চাহিদা বাড়ায় বরাদ্দও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রথমে প্রতিদিন দুইটি পয়েন্টে ২ টন চাল বিতরণ করা হতো, যা ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বেড়ে ৩ টন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিজন ক্রেতা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে চাল সংগ্রহ করতে পারছেন। খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।  


ডিলারদের একজন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী জানান, সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার কারণে বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিদিন দেড় মেট্রিক টন করে দুটি পয়েন্টে মোট ৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণ হচ্ছে।  


হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছা. খালেদা বানু জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমে দুই টন চাল বিক্রি করা হলেও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে তিন টন করা হয়েছে। ক্রেতারা নির্ধারিত নিয়মে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।  


তিনি আরও বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণ শুধু হাকিমপুর পৌর এলাকায় চালু রয়েছে। ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের পাঁচ দিন এ কার্যক্রম চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।  


সরকারের এই উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও অনেকে দাবি করেছেন, এ কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখা হলে তারা আরও উপকৃত হতেন।