বিবিসি বাংলা খুনি হাসিনার পক্ষ নিচ্ছে - প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিবিসি বাংলা খুনি হাসিনার পক্ষ নিচ্ছে - প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি দাবি করেন, সংবাদ মাধ্যমটি শেখ হাসিনার প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে এবং তার ভারত পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপেক্ষা করছে।  


শফিকুল আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, বিবিসি বাংলা শেখ হাসিনাকে গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক হিসেবে উল্লেখ না করে বরং তার পক্ষে সুর মিলিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে চলে গেছেন—এই তথ্য জানানো হলেও, কী কারণে তিনি দেশত্যাগ করেছেন, তা বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।  


তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, তার নির্দেশেই এসব ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিবিসি বাংলা এই প্রতিবেদন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিয়ে কেবল সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় হওয়া গণগ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেছে।  


তার দাবি, শেখ হাসিনার শাসনামলে হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার ও গুম হয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের পর পুলিশের দমন-পীড়নের ফলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু বিবিসি বাংলা সে বিষয়ে বিস্তারিত না লিখে অন্য বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে।  


শফিকুল আলমের অভিযোগ, বিবিসি বাংলা শেখ হাসিনাকে একতরফা প্রচারের সুযোগ দিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই সংবাদমাধ্যম কি নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে কখনো একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে? তারেক রহমান কীভাবে লন্ডনে অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে কি কোনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে?  


তার পোস্টে বলা হয়, শেখ হাসিনা যখন নয়াদিল্লিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান, তখন বিবিসি বাংলা সেটিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। কিন্তু তারেক রহমানের বিষয়ে একই ধরনের মনোযোগ তারা কখনো দেয়নি।  


বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিবিসি বাংলা বা সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষপাত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।