মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি ভারত সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। চিঠির উত্তর এখনো আসেনি, তবে উত্তর না এলে সময়মতো তাগিদপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে এবং সেই চিঠির উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি কোনো উত্তর না আসে, তবে তাগিদপত্র পাঠানো হবে।"
রফিকুল আলম আরও জানান, আগামী ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাবেন। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য, রোহিঙ্গা সংকট, কৃষি বিষয়ক আলোচনা ছাড়াও নানা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই সফর চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারের একটি বড় সুযোগ বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে ৩৬ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মানবিক দিকটাও দেখতে হয়।"
পূর্ববর্তী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে রফিকুল আলম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভিসা প্রাপ্তির বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন।”
রফিকুল আলম জানান, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সহায়তা চেয়েছেন।
এদিকে, ভারতের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার জন্য ফেরত চাওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়ে ভারতকে জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের এক্সট্রাডিশন চুক্তি রয়েছে, যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।