নওগাঁ শহরের বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন গ্রাহকদের প্রায় ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে রাতের আধারে পালিয়েছে। এ ঘটনায় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মামুনুর রশিদ মামুনকে আটক করে নওগাঁ সদর থানায় সোপর্দ করেন। তার আগে, ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনু, তার স্ত্রী, ভাগনি জামাই ও অন্য কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে।
বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন গত কয়েক বছর ধরে নওগাঁ শহরসহ জেলার ১১টি উপজেলায় ঋণদান কার্যক্রম চালাচ্ছিল। সংস্থাটি গ্রাহকদের জামানতের বিপরীতে উচ্চ মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল। তবে গত দুই মাস থেকে গ্রাহকদের মুনাফা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ফাউন্ডেশনটি। এর পর থেকেই গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় এবং তারা মুনাফা আদায়ে কৌশল অবলম্বন করতে থাকে। গত অক্টোবর মাসে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মুনাফা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও গত ১২ নভেম্বর রাতের অন্ধকারে ফাউন্ডেশনটি সব কার্যক্রম বন্ধ করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ফাউন্ডেশনের গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি এবং বেশিরভাগই সহজ-সরল মানুষ। যারা তাদের সঞ্চিত টাকা ফাউন্ডেশনে জমা রেখেছিলেন। এদিকে, একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত না পাওয়ায় এখন তারা বিপদে পড়েছেন। কিছু গ্রাহক থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, মামুনুর রশিদ মামুনকে আটক করে তার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি এবং তিনি আগে কৃষি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তবে, কীভাবে তিনি এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হয়েছেন এবং গ্রাহকদের কীভাবে এত টাকা জমা রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এখন পুলিশ মামুনুর রশিদের সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।