পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৩২০ দরিদ্র পরিবারের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবারকে জীবিকায়নের জন্য ৬ হাজার টাকা, ঘরবাড়ি সংস্কারের জন্য ৩৬ হাজার টাকা, সোলার সিস্টেম রিচার্জবল লাইট এবং সাত আইটেমের হাইজিন কিট দেওয়া হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ এ সহায়তা প্রদান করছে।
মঙ্গলবার কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একটি অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়, প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০ লিটার সাইজের প্লাস্টিক বালতি, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্লাস্টিক মগ, ওরস্যালাইন এবং জেরিকেনও সরবরাহ করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কারিতাস বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্সিস বেপারী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও রবিউল ইসলাম।
সভায় সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান, গবেষক স্মাগরিকা স্মৃতি, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মসিউর রহমান, এবং মি. সম্রাট সেরাও বক্তব্য রাখেন। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন শাহরিয়ার হাসান।
লতাচাপলী ও মহিপুর ইউনিয়নে রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, ঘুর্ণিঝড় রেমালের ফলে অনেক পরিবারের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান অতিথি ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “আমাদের সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এই সহায়তা তাদের পুনর্বাসনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।”
এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ আশা জাগাচ্ছে যে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে এবং তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।