গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে শুক্রবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলি দিদারসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন এবং ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিলের গাড়ি বহর যখন ঘোনাপাড়া মোড় অতিক্রম করছিল, তখন হঠাৎই স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে গাড়িগুলোর ওপর আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শওকত আলি দিদার ও একজন আরও ব্যক্তি প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের দ্রুত গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন, যারা ঘটনাটি কাভার করছিলেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী আওয়ামী লীগকে এই হামলার জন্য সরাসরি দায়ী করে বলেন, "এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা, যা আমাদের দলের মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।"
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল, এবং দলীয়ভাবে এই ধরনের কোনো নির্দেশনা ছিল না।
পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।