১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু, প্রশ্নফাঁসে ব্যবস্থা নেবে এনটিআরসিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার ১২ই জুলাই ২০২৪ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু, প্রশ্নফাঁসে ব্যবস্থা নেবে এনটিআরসিএ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমদিনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল পর্যায় ও স্কুল-২ পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন আড়াই লাখেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী।পরের দিন শনিবার (১৩ জুলাই) কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন।


সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। একইসঙ্গে পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো শঙ্কা নেই দাবি করে গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম।


সম্প্রতি সরকারি কর্মকমিশনসহ (পিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশের পর থেকে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন একটা সময়েই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা। এ পরীক্ষায়ও প্রশ্নফাঁস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের তথ্যকে সম্পূর্ণ ‘গুজব’ বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম।


এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই। কারণ এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় কয়েক ধাপে। প্রশ্ন তৈরির কাজে সারাদেশ থেকে অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপকদের ডাকা হয়। এখানে এসে বসে তারা প্রশ্ন প্রণয়ন করেন। মডারেটর গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সিলগালা করা হয়। এরপর অন্য একটি মডারেশন গ্রুপ এসে ফাইনাল সিলগালা করে। তারপর সেটা বিজি প্রেসে যায়। সেখানেও যথেষ্ট নিরাপত্তা সহকারে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়।


গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। এরমধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন। আগামীকাল ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা।