প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ৩:৪৩
আসছে ঈদুল আজহা তাই মেহেরপুরে কোরবানিযোগ্য পশু পরিচর্যায় বেশ ব্যস্ত খামারিরা।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার অর্ধেকের বেশি পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে চলে যায়। জেলার ৪'শ টি বাণিজ্যিক ও ২২ হাজার পারিবারিক খামারে এবার চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে।
মেহেরপুর জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা আছে ৯০ হাজার ১১২টি; এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ষাড়-বলদ-গাভী মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৮৬৬টি গরু, ৫৯৫টি মহিষ, ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৯টি ছাগল এবং ২ হাজার ৮৯০টি ভেড়া রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবার জেলায় কোরবানির উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ১ লাখ ৪০৮টি। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি পশুর যোগান রয়েছে মেহেরপুরে।
দরিদ্র কৃষকের বাড়িতে দু-একটি করে লালন-পালন হলেও খামারে রয়েছে অনেক গরু-ছাগল-ভেড়া। তবে মহিষের তেমন কোন বাণিজ্যিক খামার নেই মেহেরপুরে। কিন্তু অনেক কৃষক শখের বসেই পারিবারিক খামারে মহিষ পালন করেন। আর মেহেরপুরে বেশ কয়েকটি ছাগল ও ভেড়ার বাণিজ্যিক খামার থাকলেও পারিবারিক খামারে অসংখ্য ছাগল ও ভেড়া পালিত হচ্ছে। বসতবাড়িতে দু-একটি গরু পালন করা প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেক পরিবারের। সারা বছর গরু পালনের পর এখন এসেছে কাঙ্খিত বিক্রির সময়। স্বপ্নের গরু বিক্রির টাকায় মিটবে পরিবারের চাহিদা। বাড়তি অর্থ দিয়ে আবারও নতুন গরু কিনবে। এভাবেই চলে গরু পালনকারী পরিবারগুলো।
এদিকে জেলার বেশ কয়েকটি গরুর খামার ঘুরে দেখা গেছে দেশীয় জাতের পাশাপাশি নেপালী, অস্ট্রেলিয়ান, ফিজিয়ান, হরিয়ানাসহ নানা জাতের গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। বিভিন্ন খামারীর সাথে কথা হয়েছে। তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে আনন্দ আবার কারোর কপালে চিন্তার ভাজ।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: সাইদুর রহমান জানান, কোরবানির জন্য এবার মেহেরপুর জেলার ৪'শটি বাণিজ্যিকসহ পারিবারিকভাবে ২২ হাজার খামারে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১ লাখের বেশি পশু ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত শুরু হয়েছে।