নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ। নদী কেন্দীক জীবনযাপন।নদী কেন্দীক ব্যবসা বানিজ্য আমাদের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখাছে। নদীমাত্রিক এই চিরায়ত বাংলার ফুসফুস নদী। নদীকে বাচিয়ে রাখার দ্বায়িত্ব আমাদের সকলের। নদী বাচিয়ে উন্নয়ন কর্ম করতে হবে। ৩ ও ৪ মার্চ উপকূলীয় নদী ক্যাম্প ও নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহান এমপি।
রিভার এন্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত নাগরিক সংলাপে উপমন্ত্রী বলেন, নদী কেন্দ্রীক পর্যটন উন্নয়নে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে ৪০৫ টি নদী এখনো বেঁচে আছে। এসব নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে। নদী দখল দুষনসহ নদীর পরিবেশ ঠিক রাখতে সকলকে আহবান জানান তিনি।
দেশের উপকূলীয় ১৯ টি জেলার নদী রক্ষা এবং করণীয় এ " নদী ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন দেশের বরেণ্য পরিবেশবীদ, শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল।
দেশের নদী বাঁচাতে ও ইয়ুথ চিন্তাভাবনা বিষয়ক সেশনে বক্তারা বলেন, সরকার সবসময় সুদূর প্রসারী চিন্তা ও নীতিমালা হাতে নিয়েছে। আমাদের সকলের উচিত সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপকূলীয় সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসতে। তাহলেই রক্ষা পাবে আমাদের সসম্পদশালী নদী।
অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বক্তারা আরো বলেন,আমরা সরকারি উদ্যোগে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা ট্যুরিস্ট আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোরালো ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
"রিভার ও সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ" এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এ বছর প্রথমবারের মত চেষ্টা করেছি এরকম একটি নদী ক্যাম্পের আয়োজন করতে।
এ বছরের ন্যায় প্রতিবছর আমরা এ ধরণের আয়োজন করে যাবো। এ সংলাপের মাধ্যমে দেশের নদী রক্ষার কাজ আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি ।
উপকূলীয় নদী সংলাপে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।