হাতিয়ায় কোটি টাকার ঘাট বাণিজ্য: বিএনপি-আ.লীগের যৌথ ভাগ বাটোয়ারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই মার্চ ২০২৫ ০৫:৫১ অপরাহ্ন
হাতিয়ায় কোটি টাকার ঘাট বাণিজ্য: বিএনপি-আ.লীগের যৌথ ভাগ বাটোয়ারা!

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি লঞ্চ ঘাট নিয়ে বিরোধ তীব্র হয়েছে। বিএনপির বহিস্কৃত যুগ্ম-আহ্বায়ক আলমগীর কবিরের যোগসাজশে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ঠরা ঘাটটি দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজল ও বিএনপির আলমগীর কবির এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন বাবু তমরদ্দি ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।


তমরদ্দি ইউনিয়নের কৃষকদল নেতা মো. রুবেল মাহমুদসহ দলের কয়েকজন নেতা গত ১৭ মার্চ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুন অর রশীদ আজাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন বাবু ও আলমগীর কবির ঘাটের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি দখল করে নিয়ে সেখানে চাঁদাবাজি করতে শুরু করেন। কৃষকদল নেতা রুবেল মাহমুদ অভিযোগ করেন, তিনি ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ঘাটে চাকরি পাওয়ার আশায়, কিন্তু পরে জানতে পারেন যে, ঘাটে আরও ২০-৩০ জনের কাছ থেকে একইভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বারবার হামলা চালানো হয় এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।


এছাড়া, আলমগীর কবির এবং তার সহযোগীরা তমরদ্দি ও চর আতাউর এলাকায় চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন, যার মধ্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যারা প্রতিবাদ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।


হাতিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাবর আজম অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর আলাউদ্দিন বাবু ও তার সহযোগী আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে তমরদ্দি বাজারে লুটপাট চালানো হয় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।


এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি খোরশেদ আলম বলেন, এই ঘটনায় দুই পক্ষই মামলা দায়ের করেছে এবং পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে এক পক্ষের সদস্য জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


এদিকে, বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক খোকন বলেন, ‘‘আমরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, কোনো চাঁদাবাজীকারীকেই দলে থাকতে দেওয়া হবে না।’’