রাণীশংকৈলে জমিদখলসহ নানা অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ ইলিয়াস আলী - জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:২৬ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈলে জমিদখলসহ নানা অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় জমি দখল, নারী শ্লীলতাহানি সহ নানা অভিযোগে আইনুল হক (৫৮) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি রাণীশংকৈল উপজেলার মৃত বজির উদ্দিন এর ছেলে। 


জানা যায়,উপজেলার ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আইনুল হক (৫৮) কে  জমিদখল, নারী শ্লীলতাহানি সহ নানা অভিযোগে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাশিপুর ইউনিয়নের বলঞ্চা গ্রামের মৃত সলেমান আলীর ছেলে আ: কুদ্দুস (৪৫) বাদী হয়ে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাণীশংকৈল থানায় প্রধান আসামী আইনুল হকসহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


অভিযোগ সূত্রে যানা যায়, মেম্বার আইনুল সহ সকল আসামী যোগসাজসে একই জমি নিজের বলে দাবি করে এলাকার লোকদের বিভিন্নভাবে বিপদে ফেলে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। প্রস্তাবে রাজী না হলে জমি দখল, চাঁদা দাবি সহ নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। 


অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, গেল শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাদী কুদ্দুসের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি বিবাদী সকলেই জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এতে বাদী কুদ্দুস বাধা দিলে ইউপি সদস্য আইনুল হকের নির্দেশে সকল আসামীগণ তাকে মারপিট করে। এমনকি ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি থামাতে আসা বাদীর মা রমেশা (৭২), বাদীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন (২৫), বাদীর মেয়ে কানিজ (১৭) কে শ্লীলতাহানীসহ গলা টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে আসামীগণ। 


এদিকে বাদি কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে জমি ওদল বদল  করেছি। এ বিষয়ে বিবাদী আইনুল হকের কোন সম্পর্কই নেই কিন্তু হঠাত আইনুল মেম্বার তার দলবল নিয়ে আমার জমিতে এসে আমাকেসহ আমার মা,  আমার বউ, ছোট ভাইয়ের বউ এবং আমার মেয়েকে লাঠি রডসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মারধর শুরু করে। সবাই বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে।


এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাণীশংকৈল থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, এটি একটি মারামারির ঘটনা, এ ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য আইনুল হককে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও জেল হাজতে সপর্দ করা হয়েছে।