নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের কেগনা সরকারি বাস্তহারা (আশ্রয়ণ) প্রকল্পের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সোমবার (১২ মে) মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী হেদায়েত উল্যাহ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী মতিন ও হাসেম তাঁর বসতঘরের পাশের মাটি জোর করে কেটে নিয়ে গেছেন এবং এতে তাঁর ঘর ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। তিনি আরও জানান, তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হয় এবং প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তাঁর অভিযোগে পাশে থাকা আবু তালেব, মো. স্বপন ও আব্দুর রহিমও সমর্থন দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার বলেন, কেগনা এলাকায় যেটি আশ্রয়ণ প্রকল্প, সেটি সরকারি খাস জমিতে নির্মিত। সেখানে একটি পুকুর ও কিছু খালি জমি রয়েছে, যেখানে সরকারিভাবে কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণের কাজ চলছে। ইউএনও জানান, “মাটি কাটা হচ্ছে সরকারি কাজের জন্য, বিক্রির জন্য নয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, যিনি অভিযোগ করছেন তিনি নিজেই সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দোকানদারি করছেন এবং তাঁর থাকার অধিকার নেই। ইউএনওর ভাষ্য অনুযায়ী, এ প্রকল্প স্থানীয় পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং অভিযুক্ত মতিনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।