হিলি স্থলবন্দরে আমদানি বাণিজ্যে ধস, সমস্যার পাহাড়ে ব্যবসায়ীরা

তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত হিলি দিয়ে আগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ ট্রাক প্রবেশ করতো, যা বর্তমানে নেমে এসেছে মাত্র ১৭-২০ ট্রাকে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে তিনি হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের হয়রানি, শুল্ক স্টেশনের বৈষম্যমূলক আচরণ এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একেক সময় একেকভাবে এইসএস কোড নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি পোর্টের দুটি স্কেল দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকায় পণ্যের ওজন নির্ণয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, চুক্তি লঙ্ঘন করে পোর্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পণ্য আমদানি করছে। এছাড়াও শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে অনিয়ম রয়েছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে মজুরি নেওয়া হলেও, সময়মতো পণ্য লোড-আনলোড না হওয়ায় আমদানিকারকদের নাইট চার্জ দিতে হচ্ছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিনুর ইসলাম শাহিন বলেন, বন্দরে মানসম্মত শেড না থাকায় পণ্য অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে, যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শ্রমিকরাও বারবার অভিযোগ করলেও, পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ন্যায্য মজুরি দিচ্ছে না।

শ্রমিকদের কেউ সরাসরি কথা বলতে না চাইলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চললেও কেউ মুখ খুলতে পারছে না নিরাপত্তার কারণে। তিনি অভিযোগ করেন, বন্দরের শ্রমিক সেকশনটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ডেকে নেওয়া হয়েছে বে-নামে।

অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মশফিকুর রহমান ও সিএম মানিক মিয়া সহ আরও অনেকে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান, নইলে বন্দর ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে।