দেবীদ্বারে ফের অবরুদ্ধ সেই প্রধান শিক্ষক!

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১১ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে ফের অবরুদ্ধ সেই প্রধান শিক্ষক!

কুমিল্লার দেবীদ্বারে স্কুল প্রধান শিক্ষককে নারী কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সালিসি বৈঠকে প্রধান শিক্ষক ফের অবরুদ্ধ।


বৃহস্পতিবার বিকালে ওই বৈঠক চলাকালে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে এলাকাবাসী এ অবরোধ করেন এবং বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বাহির করে দিতে বিক্ষুব্ধ জনতা জুতা হাতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান ও লাঠি সোটা নিয়ে দৌড়া দৌড়ি শুরু করলে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।


ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ৯ নং গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে।


স্থানীয়রা জানায়, বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে এক নারীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেবীদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুরে জনতা কর্তৃক আটক হওয়ার খবর স্কুল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরদিন মঙ্গলবার ও বুধবার স্থানীয়রা তার অপসারন ও শাস্তির দাবী করে। 


গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাঙ্গরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম বিদ্যালয়ে আসার সংবাদে এলাকার ক্ষুব্ধ জনগন ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির অভিযোগ এনে তার অপসারনের দাবীতে বিদ্যালয় ঘেরাও করে রাখে। এতে স্কুল ক্যাম্পাস ও আশ-পাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মহিউদ্দিন শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যালয়ের সালিসের মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাবে পুলিশ প্রহরায় প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

 

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিসে ইউপি চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গণ্য-মান্য ব্যাক্তিবর্গ বৈঠকে বসলে, স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককের অপসারনের দাবীতে আবারো অফিস অবরোধ করে নানা শ্লোগান দিতে থাকে এবং বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বাহির করে দিতে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠি সোটা নিয়ে দৌড়া দৌড়ি শুরু করলে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে বৈঠক স্থগিত করে সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।


এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমিনুল হক সরকার (কামরুল) সাংবাদিকদের জানান, আমাদের স্থগিত হওয়া বৈঠকের কার্যক্রম চলছে। রাতেই আমরা বৈঠকে সকলের মতামতের বিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।