সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকার মানুষজন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে অবৈধ পুকুর খননের ফলে প্রায় তিন হাজার বিঘা ফসলী জমি সারা বছর পানিতে তলিয়ে থাকে, যা তাদের কৃষিজীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে শত শত কৃষক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন তাড়াশ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহরেজা সেতার। তিনি বলেন, “দেশের অন্যান্য স্থানে বন্যার পানি শুকিয়ে গেলেও আমাদের উপজেলার বোয়ালিয়া, সরাপপুর, ঝুরঝুরী, ভিকমপুর ও জাহাঙ্গীরগাঁতী গ্রামের হাজার হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।”
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, "কৃষক ও সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষার জন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। পূর্ব তাড়াশে অধিকাংশ জমি জলাবদ্ধতার কারণে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। দুই-একটি জমিতে ধান চাষ হলেও তা এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে।"
এলাকার কৃষকরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, "আগামী তিন দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করাসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে হবে।" তারা আরও দাবি করেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, “পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা এবং অবৈধ পুকুর খনন একটি বড় সমস্যা। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি দায়িত্বে আসার পর এ বিষয়ে অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, “জলাবদ্ধতার সৃষ্টির কারণ সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আশা করছি, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং কৃষকদের ফসলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
এভাবে তাড়াশের জনগণ তাদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে, যা স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে পারে। জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করছেন এলাকার কৃষক ও সাধারণ জনগণ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।