ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জনরোষ থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে তারা গোপনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন, এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, দালাল এবং ইমিগ্রেশন এজেন্টদের মাধ্যমে নিরাপত্তার আশায় সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে কোটি টাকার বিনিময়ে পালানোর চেষ্টা করেছেন, তবে ২০ লাখ টাকার নিচে কেউ এ পথে সফল হননি।
সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যে অধিকাংশই ভারত সীমান্তকে পছন্দ করেছেন। যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সিলেট, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত ব্যবহার করে তারা দেশ ছাড়ছেন। এ প্রসঙ্গে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সীমান্তে একাধিক দালাল চক্র গড়ে উঠেছে, যারা নেতাদের পারাপারের জন্য বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরে গোপন আশ্রয়ে চলে যান এবং পরে নিরাপত্তা নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেন। তার নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কিছু গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া, পুটখালী ঘাট এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না হত্যার শিকার হন। দালালদের হাতে নির্যাতনের পর তার লাশ উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকে অপরিচিত কাউকে দেখলে সন্দেহ করে বিজিবির হাতে তুলে দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, আওয়ামী লীগ নেতাদের পালানোর এই চেষ্টা দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন একটি অধ্যায় শুরু করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘটনার ফলে দেশের রাজনীতিতে আরো অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। জনমনে এই আতঙ্ক বিরাজ করছে, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিভাবে গড়াবে তা নিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।