টসের সময় ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছিলেন, উইকেটে থাকা ঘাসের পূর্ণ ব্যবহার করতে চান। তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া-ভুবনেশ্বর কুমাররা। ভারত-পাকিস্তান মহারণে পাক ইনিংসের শুরু থেকে শেষতক ছড়ি ঘোরালেন এই দুই পেসার, সঙ্গ দিলেন বাকি বোলাররাও। তবে শেষ দিকে শাহনেওয়াজ দাহানি আর হারিস রউফের ছোট্ট দুই ক্যামিওতে ভারতের সামনে ১৪৮ রানের চ্যালেঞ্জ ঝুলিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল না, সেটার আভাস শুরুর ওভারেই দিচ্ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। পাক ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে গোটা দুই আবেদন করেছিলেন, যার দুটোই গিয়েছে শেষমেশ তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। যদিও শেষমেশ ধোপে টেকেনি।শুরুর চাপটা পাকিস্তানকে খানিকটা খোলসে ঢুকে যেতেই বাধ্য করেছিল। তৃতীয় ওভারে সেই চাপটাকে দূরে ঠেলে দিতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন অধিনায়ক বাবর আজম। ভুবনেশ্বরের শর্ট বল সীমানাছাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শর্ট ফাইন লেগে থাকা আরশদীপ সিংয়ের হাতে। ৯ বলে ১০ রান তুলে ফেরেন বাবর।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ফখর জামান মিলে সে ধাক্কাটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফখরকে হারায় পাকিস্তান। তৃতীয় সিমার আবেশ খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬ বলে ১০ রান করা ফখর। তবে সে আউটে আলোচনারই জন্ম দিয়েছেন তিনি। বলটা যে তার ব্যাট ছুঁয়ে গেছে সেটা ফখর ছাড়া আর কেউ টেরই পাননি। তার প্রমাণ মিলছিল ভারতের প্রতিক্রিয়ায়। আবেশ তো বটেই, দীনেশ কার্তিকও বুঝতে পারেননি বলে ব্যাটের ছোঁয়াটা। ফলে আবেদন করেননি কেউই। তবে ফখর হাঁটা শুরু করেন প্যাভিলিয়নের দিকে। পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই দুই উইকেট খুইয়ে বসে পাকিস্তান।
সেই এক উইকেটই যেন পাকিস্তানকে বড় রানের পথ থেকে সরিয়ে দিল। পরের দশ ওভারে দলটা তুলতে পারল মোটে ৬৮ রান। ভারতীয় স্পিনাররা চেপে ধরেছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। তবে ব্রেক থ্রুটা এনে দেওয়ার কাজ করে দিলেন পেসার পান্ডিয়াই। শর্ট বলে বিদায় করলেন থিতু হয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দেওয়া ইফতিখার আহমেদকে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে আবারও আক্রমণে তিনি, এবারও শর্ট বলকেই ব্যবহার করলেন আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে তো ফেরালেনই, এক বলের ব্যবধানে ফেরালেন খুশদিল শাহকেও।
পান্ডিয়ার গড়ে দেওয়া মঞ্চে বাকি কাজটা সারেন ভুবনেশ্বর। শুরুতে বাবরকে ফেরানো এই পেসার বিপদজনক আসিফ আলীকে ফেরান প্রথমে। এরপর ১৯তম ওভারে এসে ফেরান শাদাব খান আর নাসিম শাহকে।নবম ব্যাটসম্যান নাসিম যখন ফিরছেন, পাকিস্তানের রান তখন ১৩০ ও পেরোয়নি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা শাহনেওয়াজ দাহানি এরপর পাকিস্তানকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার কাজটা সারেন। তার দুই ছক্কায় করা ৬ বলে ১৬ আর হারিস রউফের ৭ বলে ১৩ রানের ছোট্ট দুই ক্যামিওতে দেড়শ ছোঁয়া সংগ্রহ পায় দুই বারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১৪৮ রানের।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।