প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২, ২৩:৬
মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ এর দশম শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত এর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী আল-আমিন এর গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধ করেছে শিক্ষার্থী ও ন্যায়বিচারকামী জনতা।
মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার মশুরা গ্রামের নিজাম খানের মেয়ে নুশরাতের (১৫) সঙ্গে একই উপজেলার ভোজেশ্বর কাঠপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল।আল আমিন তাকে বিয়ে না করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার একজনকে বিয়ে করে। তাদের ৮ আগস্ট সোমবার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ছিল। এ খবর পেয়ে সোমবার রাত ৯টায় নুসরাত তার নিজ ঘরে বিষপান করে। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩টার দিকে নুসরাত মারা যায়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে নুসরাতের বাবা নিজাম উদ্দিন খান বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা কারী আল আমিন এর ফাঁসি দাবি জানাই। আর যেন কোনো বাবা মায়ের বুক আমাদের মত খালি না হয়। আমার মাত্র একটা মেয়ে ছিল আর কেউ নাই, ওর কারনে আমার মেয়েটা আত্মহত্যা করছে আমি ওর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।
মেয়ের মামা বোরহানউদ্দিন বলেন, আমার ভাগ্নেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে আমার ভাগ্নেকে বিভিন্নভাবে কলা-কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সাথে সম্পর্ক করে এবং সম্পর্কের গভীরতা বাড়ার পর ওই ছেলে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যায়। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হলে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আমার ভাগ্নি আল-আমিন বার বার বলছে তাকে ছাড়া বাচবে না। এটা বলার পরও সে অন্য জায়গায় বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেয় এবং গায়ে হলুদের আয়োজন করে। সেদিন আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করে মারা যায়। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর যথাযোগ্য বিচারের দাবি জানাচ্ছি।