এখনও মানেবতর জীবনযাপন করছে প্রতাপনগরের ৫০০পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই মে ২০২২ ০৫:৪০ অপরাহ্ন
এখনও মানেবতর জীবনযাপন করছে প্রতাপনগরের ৫০০পরিবার

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের অন্তত ৫০০ পরিবার ঘরবাড়ি হারা হয়ে নাকানি চুপানি খেতে খেতে বর্তমানে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবে বসবাস করলেও বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হলে তাদেরকে পুনরায় ঘরবাড়ি ছাড়া করার কাজ হবে। তাদের দুঃখের কথা জেনে সচেতন মহল মনে করছেন, মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে তাদেরকে বলিদানের কাজ হতে যাচ্ছে। 


প্রতাপনগর ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ, বিশেষ করে চাকলা, সুভদ্রাকাটি, রুইয়ারবিল ও হরিষখালীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন ও বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে তাদের আবাসস্থল ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে বসবাস করে আসছেন। ঘরবাড়ি ও বসবাসের জমি নদীতে চলে যেতে থাকায় তারা স্থানান্তর হতে হতে নাকানি চুপানির মধ্যে বসবাস করে আসছেন। স্থায়ী বাঁধ নির্মানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। 


এলাকার ভুক্তভোগি ও ঘরবাড়ি হারা হয়ে নতুন করে কোন রকমে বসবাসের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া মানুষের দাবি, এসব এলাকায় নতুন স্থায়ী বাঁধ যে জায়গা দিয়ে করার পরিকল্পনা চলছে তাতে অন্তত ৫০০ পরিবারের কয়েক হাজার ঘর বাড়ি ভাঙতে হবে। কিন্তু নদীর পাড়ে থাকা বিস্তীর্ণ চরের ওপর দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করলে ঘরবাড়ি যেমন অক্ষত থাকবে, তেমনি প্রায় ১ হাজার বিঘা জমি হবে বসবাস যোগ্য।


 এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বিনীত আবেদন, এলাকার কল্যাণ তথা মানুষের সুবিধা ও দীর্ঘস্থায়ী চিন্তাভাবনা মাথায় নিয়ে বাঁধ নির্মানের কাজ করা হোক। যুগযুগ ধরে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বাঁধ ভেঙ্গে নাকানি চুপানি খাওয়া গৃহহারা মানুষগুলোর জীবনকে হুমকীমুক্ত ও স্বাভাবিক জীবন যাপনে অটুট রাখার খুবই জরুরী বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে এলাকার চরম হতাশা ও বিপদগ্রস্থ মানুষ ও পরিবারগুলো।