থেমে থেমে যাত্রীর চাপ, স্বস্তিতে ছুটছে ঘরে ফেরা মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১লা মে ২০২২ ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
থেমে থেমে যাত্রীর চাপ, স্বস্তিতে ছুটছে ঘরে ফেরা মানুষ

ঈদযাত্রায় সড়কে যানবাহন ও মানুষের চাপ থাকলেও নেই কোন ভোগান্তি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ও সড়কে দেখা মেলেনি কোন যানজটের। কিছু কিছু জায়গায় ধীরগতি থাকলেও জটের দেখা মেলেনি।


এদিকে রাজধানী থেকে ছেড়ে আসা ঘুরমুখো মানুষ দফায় দফায় এসে নদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ভোগান্তি ছাড়া গৌন্তব্যে যাচ্ছেন।


রাজবাড়ী জেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, কঠোরভাবে সড়কে যান চলাচল নজরদারি করা হচ্ছে। কোথাও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে সড়কে কঠোর নজরদারিও রেখেছে ট্রাফিক পুলিশ।


রবিবার (১ মার্চ) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের পুলিশ বক্স থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ২কিলোমিটার এলাকার দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে যাত্রীবাহী লোকাল বাস প্রবেশের জন্য দীর্ঘ সিরিয়ালে অপেক্ষা করছে। এদিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা অধিকাংশ ফেরিতে ব্যাক্তিগত যান, মাইক্রোবাস, মটরসাইকেলের চাপ ছিলো চোখে পড়ার মতো।


অপরদিকে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা অধিকাংশ লঞ্চেই উপচেপড়া যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে ফরিদপুরের মধুখালি যাচ্ছেন হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবার শান্তি মতো ঘাটে আসতে পেরেছি। তবে সড়কে থাকা যানবাহন গুলো একটু বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। তবে কোথাও থেমে থাকতে হয়নি। গাবতলী থেকে সেলফি বাসে পাটুরিয়া পর্যন্ত এসে ফেরিতে পার হয়েছি।এখন দেখি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কোন গাড়িতে বাড়ি যেতে পারি।


মাগুরাগামী লঞ্চের যাত্রী কাউছার মাহমুদ বলেন, পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসলাম। কোন রকম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। তবে লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ছিলো।


তবে শিমুলিয়া ঘাটের চেয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে একদম কম ভিড় রয়েছে। বাকি পথটুকু শান্তিমতো গেলেই হয়।


(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, "বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে  মোট ২০টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কাজ করছে। ঈদের আগে দৌলতদিয়া ঘাটে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। ঘাট পার হয়ে সবাই ভালোমতো বাড়ি যাচ্ছে। আমরা মানুষের যাত্রা নির্বিগ্ন করতে সব সময় কঠোর নজরদারি করছি।