রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের আখশুকনা সুইস গেট বাসুখালি এলাকায় এলজিইডি'র পাকা সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই তাতে ধানের চারা গজাতে শুরু করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও পথচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত দুই মাস আগে কতৃপক্ষের নিকট কাজটি বুঝিয়ে দিয়েছেন মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা এলজিইডি'র প্রকৌশলীর দাবি সড়কে ধানের চারা গজানোর কোনো সুযোগ নেই৷ সঠিক নিয়মে গুনগত মান ঠিক রেখেই সড়কটি সংস্কারণের পাকা কাজ করা হয়েছে। তিনি নিজেই ওই কাজের সর্বক্ষনিক তদারকি করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ৭৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৯০৬ টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের ১০ মার্চ থেকে কাজ শুরু করে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ সম্পন্ন করেছে কালুখালী উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স।
সরোজমিনে ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই ধার দিয়ে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। জঙ্গল ইউনিয়নের প্রায় ৩৪ টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক পথ এটি। এই সড়ক দিয়েই মাঠের সকল ফসল বাড়িতে আনা-নেওয়া করে কৃষকেরা। পাকা এই সড়কটির এজিং(সীমানা) থেকে মূল রাস্তার ১/২ ফিট জায়গা জুড়ে কার্পেটিং ভেদ করে গজিয়ে উঠেছে ধানের চারা। রাস্তার বিটুমিন নরমাল হওয়াতে ধানের চারা ধরে টান দিলে তা পাথর সহ উঠে আসছে। এছাড়াও সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবার দুই মাসের মধ্যে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দার ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, এর আগে কখনো দেখিনাই পাকা রাস্তায় ধান বা আগাছা জন্মে। কিন্ত এখন দেখছি নতুন করে কাজ করার পর সড়কে ধানের চারা গজিয়েছে। কতটা নিম্নমানের কাজ হলে এমন চিত্র দেখা যায়। রাস্তার পাশের আবাদি জমির কৃষকেরা বলেন, রাস্তার কাজ শেষ হবার কয়েকদিন পরে চারা গজানো দেখে ঠিকাদাররা স্প্রে করে তা মেরে দেয়। তবে এখন আবার বৃষ্টি পেয়ে আবার নতুন করে ধানের চারা গজাতে শুরু করেছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আলমগীর বাদশা বলেন, আখশুকনা সুইস গেট বাসুখালি সড়কটি সঠিক নিয়মে ও গুনগত মান ঠিক রেখেই কাজ শেষ করা হয়েছে। সড়কে ধানের চারা গজানোর বিষয় টি তার জানা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।