নীলফামারীর লোকালয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের দলপাড়া গ্রামে একটি মুরগির খামারে মৃত বাঘটি দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে মৃত বাঘটি উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এলাকাবাসীর ধারণা, খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে আছে বাঘটি।
অনুররূপভাবে আরেকটি চিতা বাঘ এলাকায় লুকিয়ে থাকার আতঙ্ক বিরাজ করছে। লোকালয়ে বাঘ দেখার খবরে দূর থেকে হাজারো মানুষ ওই গ্রামে ভিড় জমাচ্ছে। লোকালয়ে থাকা জীবিত অপর চিতা বাঘটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে রংপুর বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ। তবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপর চিতা বাঘটির সন্ধান মেলেনি।
স্থানীয় ও বন বিভাগ জানায়, দলপাড়া গ্রামের বাঁশ ঝাড় ও ভুট্টা ক্ষেতসংলগ্ন জমিতে অলিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির একটি মুরগির খামার রয়েছে। দেড় মাস যাবৎ ওই খামারে প্রতিরাতেই ১০ থেকে ১৫টি করে মুরগির মৃত্যু ঘটছে বন্যপ্রাণীর আক্রমণে। এ জন্য বন্যপ্রাণীর হাত থেকে মুরগি রক্ষায় রাতের বেলায় খামারটির চারিদিক বৈদ্যুতিক তারে ঘিরে রাখেন খামার মালিক। শুক্রবার রাতের কোনো একসময় ওই খামারে চিতা বাঘটি আক্রমণ চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ভারত সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। অনেকের ধারণা ভারত সীমান্ত হয়ে চিতাবাঘটি পথভুলে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম খান বলেন, 'এলাকাবাসীর ধারণা সঠিক হতে পারে। ভারতের কোনো বন থেকে পথভুলে বাংলাদেশে আসতে পারে। মৃত বাঘটি উদ্ধার করা হয়েছে। '
নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, 'এটি বন বিভাগের বিষয়। তারা কী পদক্ষেপ নেবেন, আমাদের জানালে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। '
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জানান, মৃত চিতা বাঘটি উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত চিতা বাঘটি একটি ভুট্টাক্ষেতে রয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছে। সেখানে মাইকে প্রচারের মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।