গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আপত্তিকর ভিডিও তুলে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাতা রুহুল আমিনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত সোমবার বিকালে পৃথক দুটি মামলায় তাকে থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রুহুল আমিন উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। গত রবিবার রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজউদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে তাকে আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে অশ্লীল ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ মোবাইল ফোনসেটটি জব্দ করা হয়। গত সোমবার নির্যাতিতা মা-মেয়ে বাদী হয়ে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নে তার শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে শাশুড়ির অজান্তে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন। পরে তা শাশুড়িকে দেখিয়ে সেগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ১৩ মার্চ থেকে গত ৭ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এছাড়া গত বছর গাইবান্ধা শহরে নিজ শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ চেষ্টার দৃশ্য ভিডিও করেন রুহুল। পরে শ্যালিকাকে কৌশলে উপজেলার সমসপাড়ায় তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে ডেকে এনে ফেসবুকে সেই ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, আসামি রুহুল আমিনকে পৃথক দুই মামলায় আদালতে হাজিরের পর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। পরে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।